০৭:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উচ্চশিক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ ৪ শতাংশ করার দাবি

স্টাফ রিপোর্টার

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান উচ্চশিক্ষা খাতে আগামী অর্থবছর থেকে জাতীয় বাজেটের কমপক্ষে ৪ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, মানব নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারকে শিক্ষা, কৃষি ও স্বাস্থ্য খাতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। উচ্চশিক্ষা খাতে বাজেটের ৪ শতাংশ বরাদ্দ নিশ্চিত হলে গবেষণা খাতে প্রত্যাশিত বাজেট বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ইউজিসির আয়োজনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সামাজিক বিজ্ঞান উপশাখায় গবেষণা প্রকল্প প্রস্তাব মূল্যায়ন কর্মশালায় এসব মন্তব্য করেন তিনি।

অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান আরও বলেন, শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করতে হবে এবং এ ক্ষেত্রে ইউজিসিকে প্রকৃত গবেষকদের যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে। তিনি মনে করেন, গবেষণা নির্বাচনে দলীয় যোগ্যতার চেয়ে একাডেমিক যোগ্যতাকেই প্রাধান্য দেওয়া উচিত।

সমাজের কল্যাণে অবদান রাখতে সক্ষম এমন গবেষণা প্রকল্প বেছে নেওয়ার উপর গুরুত্ব দেন তিনি।

কর্মশালার সভা প্রধান হিসেবে বক্তব্য রাখেন কমিশনের আরেক সদস্য অধ্যাপক ড. মাছুমা হাবিব। তিনি বলেন, বর্তমানে রাষ্ট্র পরিচালনায় তিনজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক রয়েছেন এবং শিক্ষা ও গবেষণা খাতে বাজেট বাড়ানোর মাধ্যমে জাতির প্রত্যাশা পূরণে তারা সহায়ক হবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বর্তমানে এই খাতে জাতীয় বাজেটের ১ শতাংশেরও কম বরাদ্দ দেওয়া হয়।

কর্মশালায় বিশেষজ্ঞ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা, অধ্যাপক ড. মো. আবদুস সালাম, অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহাম্মদ ফরিদুল আলম।

অনুষ্ঠানে গবেষণা নিবন্ধ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন জার্নালে প্রকাশ বাধ্যতামূলক করা, গবেষণায় ইথিক্যাল রিভিউ থাকা, একাধিকবার একই প্রকল্পে বরাদ্দ না দেওয়ার মতো পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়া গবেষণার ডেটাবেজ তৈরি এবং জাতীয় প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন বিভাগ খোলার সুপারিশও করা হয়।

কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন রিসার্চ গ্রান্টস অ্যান্ড অ্যাওয়ার্ড ডিভিশনের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শাহীন সিরাজ। এই কর্মশালায় ১৭টি গবেষণা প্রকল্প প্রস্তাব মূল্যায়ন করা হয়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপডেট সময় : ০৬:৫৫:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৬৭ বার পড়া হয়েছে

উচ্চশিক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ ৪ শতাংশ করার দাবি

আপডেট সময় : ০৬:৫৫:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান উচ্চশিক্ষা খাতে আগামী অর্থবছর থেকে জাতীয় বাজেটের কমপক্ষে ৪ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, মানব নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারকে শিক্ষা, কৃষি ও স্বাস্থ্য খাতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। উচ্চশিক্ষা খাতে বাজেটের ৪ শতাংশ বরাদ্দ নিশ্চিত হলে গবেষণা খাতে প্রত্যাশিত বাজেট বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ইউজিসির আয়োজনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সামাজিক বিজ্ঞান উপশাখায় গবেষণা প্রকল্প প্রস্তাব মূল্যায়ন কর্মশালায় এসব মন্তব্য করেন তিনি।

অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান আরও বলেন, শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করতে হবে এবং এ ক্ষেত্রে ইউজিসিকে প্রকৃত গবেষকদের যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে। তিনি মনে করেন, গবেষণা নির্বাচনে দলীয় যোগ্যতার চেয়ে একাডেমিক যোগ্যতাকেই প্রাধান্য দেওয়া উচিত।

সমাজের কল্যাণে অবদান রাখতে সক্ষম এমন গবেষণা প্রকল্প বেছে নেওয়ার উপর গুরুত্ব দেন তিনি।

কর্মশালার সভা প্রধান হিসেবে বক্তব্য রাখেন কমিশনের আরেক সদস্য অধ্যাপক ড. মাছুমা হাবিব। তিনি বলেন, বর্তমানে রাষ্ট্র পরিচালনায় তিনজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক রয়েছেন এবং শিক্ষা ও গবেষণা খাতে বাজেট বাড়ানোর মাধ্যমে জাতির প্রত্যাশা পূরণে তারা সহায়ক হবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বর্তমানে এই খাতে জাতীয় বাজেটের ১ শতাংশেরও কম বরাদ্দ দেওয়া হয়।

কর্মশালায় বিশেষজ্ঞ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা, অধ্যাপক ড. মো. আবদুস সালাম, অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহাম্মদ ফরিদুল আলম।

অনুষ্ঠানে গবেষণা নিবন্ধ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন জার্নালে প্রকাশ বাধ্যতামূলক করা, গবেষণায় ইথিক্যাল রিভিউ থাকা, একাধিকবার একই প্রকল্পে বরাদ্দ না দেওয়ার মতো পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়া গবেষণার ডেটাবেজ তৈরি এবং জাতীয় প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন বিভাগ খোলার সুপারিশও করা হয়।

কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন রিসার্চ গ্রান্টস অ্যান্ড অ্যাওয়ার্ড ডিভিশনের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শাহীন সিরাজ। এই কর্মশালায় ১৭টি গবেষণা প্রকল্প প্রস্তাব মূল্যায়ন করা হয়।