১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হজ সেবাদানকারী কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনের নির্দেশ: ধর্ম উপদেষ্টা
ঢাকা: ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন জানিয়েছেন, ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সকল হজ সেবাদানকারী কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করতে হবে। সৌদি সরকার এই সময়সীমা বাড়াবে না। কোনো এজেন্সির অবহেলায় নিবন্ধিত হজযাত্রী হজ পালন করতে না পারলে, তার সম্পূর্ণ দায় সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে নিতে হবে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ধর্ম মন্ত্রণালয়ে ২০২৫ সালের হজ ব্যবস্থাপনার অগ্রগতি নিয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিক, অতিরিক্ত সচিব মোঃ মতিউল ইসলাম, যুগ্মসচিব ড. মোঃ মঞ্জুরুল হক, উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি সম্পাদনের সময়সীমা
ধর্ম উপদেষ্টা জানান, ২০২৪ সালের ২৩ অক্টোবর সৌদি হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয় চুক্তির বিষয়টি জানায় এবং পরবর্তীতে কয়েকবার লিখিতভাবে সময়সীমার বিষয়টি নিশ্চিত করে। সে অনুযায়ী, ধর্ম মন্ত্রণালয়ও সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলোকে অবহিত করেছে। তাই ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সকল হজ এজেন্সিকে হজ সেবাদানকারী কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করতে হবে।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় বাড়িভাড়া ও হজযাত্রীদের সুবিধা
হজ ও উমরাহ বিধিমালা ২০২২ অনুযায়ী, সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের জন্য বাড়িভাড়া কমিটি গঠন করা হয়েছে। ধর্ম সচিবের নেতৃত্বে ১২ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটিতে সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দুইজন ও জেদ্দা কনস্যুলেটের দুইজন প্রতিনিধি কো-অপ্ট করা হয়েছে।
এই কমিটি বাড়িগুলোর মান, আনুষঙ্গিক সুবিধা, হারাম শরীফ থেকে দূরত্ব এবং হজ প্যাকেজ অনুযায়ী প্রতিশ্রুত সেবা বিশ্লেষণ করে সর্বোত্তম বাড়ি ভাড়া করেছে।
- হজ প্যাকেজ-১: মক্কায় হারাম শরিফের বহির্চত্বর থেকে ১.৬ কিলোমিটারের মধ্যে বাড়িভাড়া করা হয়েছে।
- হজ প্যাকেজ-২: মক্কায় হজযাত্রীদের জন্য ১.২ কিলোমিটারের মধ্যে হোটেল ভাড়া করা হয়েছে।
- মদিনায়:
- হজ প্যাকেজ-১ এর জন্য সর্বোচ্চ ১ কিলোমিটারের মধ্যে হোটেল।
- হজ প্যাকেজ-২ এর জন্য ৩০০-৬০০ মিটারের মধ্যে হোটেল বরাদ্দ।
মিনায় অবস্থানের পরিকল্পনা
- হজ প্যাকেজ-১ এর হজযাত্রীরা মিনার জোন-৫ এর তাঁবুতে থাকবেন।
- হজ প্যাকেজ-২ এর হজযাত্রীরা মিনার জোন-২ এর তাঁবুতে থাকবেন।
ধর্ম উপদেষ্টা আরও জানান, বিশ্বস্ত হজ সেবাদানকারী কোম্পানিগুলোর সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করা হয়েছে। ফলে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীরা এ বছর উন্নতমানের সেবা পাবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।