০৭:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“ভর্তিচ্ছুদের সহায়তায় জাবিতে সক্রিয় ৬০টির বেশি সংগঠন”

নাগরিক বার্তা ডেস্ক

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ভর্তিচ্ছুদের সহায়তায় কাজ করছে ৬০টিরও বেশি সংগঠন।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ক্যাম্পাস পরিদর্শনে দেখা যায়, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহায়তায় জেলা সমিতির পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।

বিভিন্ন জেলা থেকে আগত শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় রাজশাহী, পঞ্চগড়, মানিকগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, সাতক্ষীরা, গাইবান্ধা, খুলনা, ধামরাই, মাগুরা, দিনাজপুর, রংপুর, টাঙ্গাইল, যশোর, জয়পুরহাট, সিলেট, বগুড়া, লক্ষ্মীপুর, কুড়িগ্রাম, শেরপুর, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নোয়াখালী, মুন্সিগঞ্জ, বিক্রমপুর, নীলফামারি, মাদারীপুর, ঝিনাইদহ, লালমনিরহাট, নাটোর, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, জামালপুর, পাবনা, ঢাকা, চট্টগ্রাম, ভোলা, চুয়াডাঙ্গা, নড়াইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, নারায়ণগঞ্জ, কুষ্টিয়া, সিরাজগঞ্জ, গাজীপুর, মেহেরপুর, চাঁদপুর, ফেনী, বরিশাল, নরসিংদী, পটুয়াখালী ও বাগেরহাট জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সদস্যদের বিভিন্ন সহায়তামূলক কাজে ব্যস্ত দেখা যায়।

নেত্রকোনা জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সভাপতি মো. এমরান হোসেন বলেন, “মানুষকে একদিন তার শিকড়ে ফিরতেই হয়। আমরাও শিকড়ের টানে একদিন নিজ জন্মভূমিতে ফিরে যাব। আর নিজের জেলার শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্যই আমাদের এই প্রয়াস। ভর্তিচ্ছুদের সহায়তায় বিভিন্ন জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতি কাজ করে যাচ্ছে। তবে, এই স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ করতে গিয়ে কিছু প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছি। আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত এসব সমস্যার সমাধানে ব্যবস্থা নেবে।”

এছাড়াও আদিবাসী ও সনাতনী শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় দুটি সংগঠন কাজ করছে। রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনের মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের দুটি শাখা ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের দুটি শাখার তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে।

ক্যাম্পাসের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলোর মধ্যে ‘জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার’-এর দুটি শাখা, স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন ‘বাঁধন’ এবং ‘তরী স্কুল’ও ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহায়তায় কাজ করছে।

জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার (অডিটোরিয়াম) শাখার সাধারণ সম্পাদক সুমাইয়া জাহান বলেন, “আমরা গত ৪৫ বছর ধরে ক্যাম্পাসে নাট্যচর্চা করে আসছি। নতুন ভর্তিচ্ছুদের কাছে আমাদের পরিচয় তুলে ধরার পাশাপাশি তাদের যেসব সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে, সেগুলো কিভাবে কমানো যায়, সেটাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।”

বাঁধনের জাবি শাখার সভাপতি মাজহারুল ইসলাম সাগর বলেন, “ভর্তিচ্ছুদের সুবিধার্থে তথ্য সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন করেছি এবং বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ের ব্যবস্থা রেখেছি, যাতে শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছায় রক্তদানে উৎসাহিত হয়। আমাদের সংগঠন জীবন্ত ব্লাড ব্যাংক হিসেবে কাজ করে। ভর্তি পরীক্ষার প্রথম চার দিনে আমরা ১,০৯৬ জনের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করেছি। এছাড়াও, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের তথ্য দেওয়া ও বিশ্রামের ব্যবস্থা করে যাচ্ছি।”

ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকেও শিক্ষার্থীদের সহায়তায় বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে দেখা গেছে।

 

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপডেট সময় : ০৬:০৩:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৮১ বার পড়া হয়েছে

“ভর্তিচ্ছুদের সহায়তায় জাবিতে সক্রিয় ৬০টির বেশি সংগঠন”

আপডেট সময় : ০৬:০৩:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ভর্তিচ্ছুদের সহায়তায় কাজ করছে ৬০টিরও বেশি সংগঠন।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ক্যাম্পাস পরিদর্শনে দেখা যায়, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহায়তায় জেলা সমিতির পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।

বিভিন্ন জেলা থেকে আগত শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় রাজশাহী, পঞ্চগড়, মানিকগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, সাতক্ষীরা, গাইবান্ধা, খুলনা, ধামরাই, মাগুরা, দিনাজপুর, রংপুর, টাঙ্গাইল, যশোর, জয়পুরহাট, সিলেট, বগুড়া, লক্ষ্মীপুর, কুড়িগ্রাম, শেরপুর, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নোয়াখালী, মুন্সিগঞ্জ, বিক্রমপুর, নীলফামারি, মাদারীপুর, ঝিনাইদহ, লালমনিরহাট, নাটোর, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, জামালপুর, পাবনা, ঢাকা, চট্টগ্রাম, ভোলা, চুয়াডাঙ্গা, নড়াইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, নারায়ণগঞ্জ, কুষ্টিয়া, সিরাজগঞ্জ, গাজীপুর, মেহেরপুর, চাঁদপুর, ফেনী, বরিশাল, নরসিংদী, পটুয়াখালী ও বাগেরহাট জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সদস্যদের বিভিন্ন সহায়তামূলক কাজে ব্যস্ত দেখা যায়।

নেত্রকোনা জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সভাপতি মো. এমরান হোসেন বলেন, “মানুষকে একদিন তার শিকড়ে ফিরতেই হয়। আমরাও শিকড়ের টানে একদিন নিজ জন্মভূমিতে ফিরে যাব। আর নিজের জেলার শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্যই আমাদের এই প্রয়াস। ভর্তিচ্ছুদের সহায়তায় বিভিন্ন জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতি কাজ করে যাচ্ছে। তবে, এই স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ করতে গিয়ে কিছু প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছি। আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত এসব সমস্যার সমাধানে ব্যবস্থা নেবে।”

এছাড়াও আদিবাসী ও সনাতনী শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় দুটি সংগঠন কাজ করছে। রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনের মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের দুটি শাখা ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের দুটি শাখার তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে।

ক্যাম্পাসের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলোর মধ্যে ‘জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার’-এর দুটি শাখা, স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন ‘বাঁধন’ এবং ‘তরী স্কুল’ও ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহায়তায় কাজ করছে।

জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার (অডিটোরিয়াম) শাখার সাধারণ সম্পাদক সুমাইয়া জাহান বলেন, “আমরা গত ৪৫ বছর ধরে ক্যাম্পাসে নাট্যচর্চা করে আসছি। নতুন ভর্তিচ্ছুদের কাছে আমাদের পরিচয় তুলে ধরার পাশাপাশি তাদের যেসব সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে, সেগুলো কিভাবে কমানো যায়, সেটাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।”

বাঁধনের জাবি শাখার সভাপতি মাজহারুল ইসলাম সাগর বলেন, “ভর্তিচ্ছুদের সুবিধার্থে তথ্য সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন করেছি এবং বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ের ব্যবস্থা রেখেছি, যাতে শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছায় রক্তদানে উৎসাহিত হয়। আমাদের সংগঠন জীবন্ত ব্লাড ব্যাংক হিসেবে কাজ করে। ভর্তি পরীক্ষার প্রথম চার দিনে আমরা ১,০৯৬ জনের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করেছি। এছাড়াও, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের তথ্য দেওয়া ও বিশ্রামের ব্যবস্থা করে যাচ্ছি।”

ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকেও শিক্ষার্থীদের সহায়তায় বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে দেখা গেছে।