ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফসলি জমিতে হাঁস ঢুকে পড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ২০
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফসলি জমিতে হাঁস ঢুকে পড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ২০
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফসলি জমিতে হাঁস ঢুকে পড়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয়দের মতে, হাঁস ঢুকে পড়াকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডা শুরু হলে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (২৮ মার্চ) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার একটি গ্রামে এই সংঘর্ষ হয়। হাঁস খামারের হাঁস ফসলি জমিতে প্রবেশ করায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে লাঠিসোঁটা নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায় তারা।
আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে, তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ফসলি জমিতে হাঁস ঢুকে পড়ায় মারামারিতে দুই পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) বিকেলে উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের ঘুজিয়াখাই গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আহতদেরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত দুই সপ্তাহ আগে ঘুজিয়াখাই গ্রামের বাসিন্দা রোশেনা বেগমের কয়েকটি রাজ হাঁস স্থানীয় জয়দর মিয়ার ফসলি জমিতে ঢুকে পড়ে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রোশেনা বেগমকে তার বাড়িতে গিয়ে মারধর
করেন জয়দর মিয়া। ওই ঘটনার দুইদিন পর রোশেনার পক্ষের লোকজন জয়দর মিয়াকে রাস্তায় একা পেয়ে মারধর করে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
পরবর্তী সময়ে স্থানীয়দের সহায়তায় দুই পক্ষ আপোসে রাজি হলেও জয়দর মিয়ার লোকজন পুনরায় রোশেনার পক্ষের একজনকে মারধর করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষই থানা ও আদালতে মামলা করে।
এ ঘটনার জেরে শুক্রবার বিকেলে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলা সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হন।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খায়রুল আলম জানান, পূর্ববিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।