গণমাধ্যমের দায়িত্বশীল ভূমিকার আহ্বান
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য বন্ধ করতে শুধু আইন বা প্রশিক্ষণ যথেষ্ট নয়; গণমাধ্যমকেই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
রোববার (২৩ মার্চ) রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর অডিটোরিয়ামে পিআইবি ও অক্সফাম ইন বাংলাদেশ আয়োজিত এক সংলাপে তিনি এ কথা বলেন। সংলাপের মূল বিষয় ছিল “ভুল তথ্য ও বিভ্রান্তির যুগে গণমাধ্যমের চ্যালেঞ্জ, দায়িত্ব এবং উন্নয়নের পথ”।
উপদেষ্টা বলেন, বিগত ১৫ বছরে প্রচারিত অনেক তথ্য ভুল ছিল, যা সমাজে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, গণমাধ্যমের মালিকানা ও উদ্দেশ্য নিয়ে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। গণমাধ্যমের দায়িত্ব হলো সঠিক তথ্য পরিবেশন করা, যাতে জনসাধারণ প্রকৃত সত্য জানতে পারে।
তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র আইন প্রয়োগ করে বিভ্রান্তিকর তথ্য বন্ধ করা সম্ভব নয়। বরং গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল থেকে তথ্য যাচাই করতে হবে এবং সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে পিআইবি মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন ইউল্যাবের অধ্যাপক ড. এম সুমন রহমান, ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ, যমুনা টিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম আহমেদ, পিআইবির চেয়ারম্যান ফেরদৌস আজিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীরসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেন, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য রোধে প্রতিটি গণমাধ্যমে ফ্যাক্ট-চেকিং ডেস্ক থাকা উচিত। পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবে সচেতন উদ্যোগের মাধ্যমে বিভ্রান্তি প্রতিরোধ সম্ভব।
সংলাপে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ মামুন অর রশীদ মিসইনফরমেশন ও ডিসইনফরমেশন নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি উপস্থাপন করেন।