খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কুয়েটের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহেদুজ্জামান শেখ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কুয়েটের সহকারী রেজিস্ট্রার (লিগ্যাল) মো. সাইফুর রহমান বাদী হয়ে খানজাহান আলী থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

কুয়েটের জনসংযোগ কর্মকর্তা আরও জানান, মঙ্গলবার ঘটনার পরপরই ভাইস-চ্যান্সেলর শিক্ষার্থীদের সব ধরনের সহযোগিতা ও ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি দ্রুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে সহায়তা চান এবং শিক্ষার্থীদের দাবি বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি সভার আয়োজন করেন।

তবে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পৌঁছানোর আগেই বহিরাগত সন্ত্রাসী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ভাইস-চ্যান্সেলর, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলরসহ কয়েকজন শিক্ষক সংঘর্ষস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। এতে ভাইস-চ্যান্সেলর, কয়েকজন শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মচারী আহত হন এবং কুয়েট মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি হন।

ভাইস-চ্যান্সেলরের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলেও তিনি শিক্ষার্থীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে দাবিগুলো পূরণের আশ্বাস দেন। সকলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সার্বিক সহযোগিতার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

এদিকে, কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কোনো শিক্ষার্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলে তাকে আজীবন বহিষ্কার এবং ছাত্রত্ব বাতিল করা হবে। একইসঙ্গে শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদেরও রাজনৈতিক সংগঠনের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় অনলাইনে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদ।

সহ-উপাচার্য অধ্যাপক শেখ শরীফুল আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।