০৭:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আশুলিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নারী নিহত, একই পরিবারের ১১ জন দগ্ধ

নাগরিক বার্তা অনলাইন

ঢাকার আশুলিয়ার গোমাইল এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিউলি আক্তার (৩২) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় একই পরিবারের নারী ও শিশুসহ ১১ জন দগ্ধ হয়েছেন। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিউলি মারা যান।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, শিউলির শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। আহতদের মধ্যে আরও ১০ জন ভর্তি রয়েছেন, যাদের মধ্যে আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে সুর্য্য বেগম (৫০) ৭ শতাংশ, সোহেল (৩৮) ১০ শতাংশ, সুমন রহমান (৩২) ৯৯ শতাংশ, শারমিন আক্তার (৩৫) ৪২ শতাংশ, সোয়াইদ (৪) ২৭ শতাংশ, সুরাইয়া (৩ মাস) ৯ শতাংশ, মনির হোসেন (৪০) ২০ শতাংশ, ছামির মাহমুদ ছাকিন (১৫) ১৪ শতাংশ, মাহাদী (৭) ১০ শতাংশ এবং জহুরা বেগম (৭০) ৫ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে আশুলিয়ার গোমাইল গ্রামে দ্বিতীয় তলায় থাকা ওই বাসায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। রাত ১টার দিকে দগ্ধদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

প্রতিবেশী মো. আবু ইসহাক জানান, দগ্ধরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। ঘটনার সময় তিনি মসজিদে ছিলেন। খবর পেয়ে বাসায় এসে তাদের দগ্ধ অবস্থায় দেখতে পান এবং দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। তার ধারণা, গ্যাস সিলিন্ডারের চুলা আগে থেকেই চালু ছিল, ফলে দুই রুমে গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। কেউ রান্না করতে গেলে আগুন ধরে বিস্ফোরণ ঘটে।

দগ্ধ সুমনের ফুফাতো ভাই মো. মাসুদ জানান, সুমনের বাড়ি শরীয়তপুর জেলায়, তবে সে পরিবারসহ গোমাইল এলাকায় ভাড়া থাকত। তার বোন শিউলি নবাবগঞ্জ দিঘিরপাড়ে এবং ফুফু জোহরা বেগম মুন্সিগঞ্জে থাকেন। সোহেলও গোমাইল এলাকায় থাকতেন। সুমন একটি গ্রাফিক্স প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন, সোহেল গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজের কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন, আর মনির সেনেটারি ব্যবসা করতেন।

তিনি আরও জানান, শবে বরাত উপলক্ষে শনিবার পরিবারের সবাই সুমনের বাসায় একত্রিত হয়েছিলেন। রাতে রুটি ও পিঠা বানানোর সময় চুলা জ্বালাতেই বিস্ফোরণ ঘটে। পরে প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপডেট সময় : ০৪:১৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৭৩ বার পড়া হয়েছে

আশুলিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নারী নিহত, একই পরিবারের ১১ জন দগ্ধ

আপডেট সময় : ০৪:১৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ঢাকার আশুলিয়ার গোমাইল এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিউলি আক্তার (৩২) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় একই পরিবারের নারী ও শিশুসহ ১১ জন দগ্ধ হয়েছেন। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিউলি মারা যান।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, শিউলির শরীরের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। আহতদের মধ্যে আরও ১০ জন ভর্তি রয়েছেন, যাদের মধ্যে আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে সুর্য্য বেগম (৫০) ৭ শতাংশ, সোহেল (৩৮) ১০ শতাংশ, সুমন রহমান (৩২) ৯৯ শতাংশ, শারমিন আক্তার (৩৫) ৪২ শতাংশ, সোয়াইদ (৪) ২৭ শতাংশ, সুরাইয়া (৩ মাস) ৯ শতাংশ, মনির হোসেন (৪০) ২০ শতাংশ, ছামির মাহমুদ ছাকিন (১৫) ১৪ শতাংশ, মাহাদী (৭) ১০ শতাংশ এবং জহুরা বেগম (৭০) ৫ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে আশুলিয়ার গোমাইল গ্রামে দ্বিতীয় তলায় থাকা ওই বাসায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। রাত ১টার দিকে দগ্ধদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

প্রতিবেশী মো. আবু ইসহাক জানান, দগ্ধরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। ঘটনার সময় তিনি মসজিদে ছিলেন। খবর পেয়ে বাসায় এসে তাদের দগ্ধ অবস্থায় দেখতে পান এবং দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। তার ধারণা, গ্যাস সিলিন্ডারের চুলা আগে থেকেই চালু ছিল, ফলে দুই রুমে গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। কেউ রান্না করতে গেলে আগুন ধরে বিস্ফোরণ ঘটে।

দগ্ধ সুমনের ফুফাতো ভাই মো. মাসুদ জানান, সুমনের বাড়ি শরীয়তপুর জেলায়, তবে সে পরিবারসহ গোমাইল এলাকায় ভাড়া থাকত। তার বোন শিউলি নবাবগঞ্জ দিঘিরপাড়ে এবং ফুফু জোহরা বেগম মুন্সিগঞ্জে থাকেন। সোহেলও গোমাইল এলাকায় থাকতেন। সুমন একটি গ্রাফিক্স প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন, সোহেল গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজের কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন, আর মনির সেনেটারি ব্যবসা করতেন।

তিনি আরও জানান, শবে বরাত উপলক্ষে শনিবার পরিবারের সবাই সুমনের বাসায় একত্রিত হয়েছিলেন। রাতে রুটি ও পিঠা বানানোর সময় চুলা জ্বালাতেই বিস্ফোরণ ঘটে। পরে প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।